আলোনসোকে সংশয়ে ফেলে রিয়ালের বিপক্ষে জয় ম্যানসিটির
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর আলো ঝলমলে রাতে ম্যাচটা শুরু হয়েছিল দারুণ উত্তেজনা নিয়ে। দুই দলের প্রতিটি আক্রমণে গ্যালারিতে দুলছিল আশা-নিরাশার ঢেউ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গর্জন থামিয়ে দিল ম্যানচেস্টার সিটি। পিছিয়ে থেকেও জয় তুলে শুধু তিন পয়েন্টই নয়, রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে বসে থাকা জাবি আলোনসোর ভবিষ্যৎও অন্ধকারে ঢেকে দিল দলটি।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠে ইংলিশ জায়ান্টদের কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল। রদ্রিগোর গোলে এগিয়ে গেলেও নিকো ও'রেইলি ও আর্লিং হালান্ডের গোলে হার মানতে হয় লস ব্লাঙ্কোসদের।
চোটের কারণে কিলিয়ান এমবাপে মাঠে নামতে পারেননি। তবু ম্যাচের শুরুতে রদ্রিগোর গোলে লিড নেয় রিয়াল। আলভারো কারেরাসের শুরু করা গতিময় আক্রমণ থেকে জুড বেলিংহাম বল বাড়ান রদ্রিগোর কাছে, আর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিমিষেই নিচু শটে বল পাঠান জালে। ৩৩ ম্যাচ পর গোল এই ব্রাজিলিয়ান।
এর আগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ফাউল মনে করে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি, কিন্তু ভিএআর জানিয়ে দেয় সংস্পর্শ ছিল বক্সের বাইরে। ফেদে ভালভার্দের ঝড়ো ফ্রি-কিক, ভিনিসিয়ুসের দারুণ দৌড়, সব মিলিয়ে প্রথম আধাঘণ্টা ছিল প্রায় নিখুঁত।
কিন্তু ছোট ভুলে সব নষ্ট করেন থিবো কোর্তোয়া। জোশকো গার্দিওলের মাথা থেকে আসা বল ঝাঁপিয়ে ধরতে গিয়ে ফসকান বেলজিয়ান গোলরক্ষক, কাছ থেকে ঠুকে সমতায় আনেন নিকো ও'রেইলি।
এরপর প্রথমার্ধের শেষদিকে আরেক ধাক্কা। আন্তোনিও রুডিগারের টেনে ধরা ফাউলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় সিটি। ঠাণ্ডা মাথায় কোর্তোয়াকে ভুল পথে পাঠিয়ে গোল করেন হালান্ড। বিরতির আগে ও পরে একাধিকবার হালান্ড, রায়ান চেরকি ও জেরেমি ডোকুকে ঠেকিয়ে ভুল পুষিয়ে নেন কোর্তোয়া, তবে ততক্ষণে ম্যাচের রঙ বদলে গেছে।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল চেষ্টা করেছে, কিন্তু ধার ছিল না আক্রমণে। বেলিংহাম দারুণ সুযোগ পেয়েও চিপ করে বাইরে পাঠান। বদলি নামা আর্দা গুলের, এন্দ্রিকও চেষ্টা করেছেন, শেষদিকে এন্দ্রিকের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্টও হয়। তবে সমতা আর ধরা দেয়নি।
ম্যাচের আগে থেকেই স্প্যানিশ মিডিয়ায় গুঞ্জন ছিল, হারলেই হয়তো বিদায় আলোনসোর। সেই আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হলো সিটির কাছে হারার পর। ১৫ বারের ইউসিএল চ্যাম্পিয়নরা এখন সব প্রতিযোগিতা মিলে শেষ আট ম্যাচে জিতেছে মাত্র দুইটিতে। লিগ ফেজের টপ এইটে থাকা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।