কেমন হতে পারে বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব?
২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র হয়ে যাওয়ায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে ৪৮ দলের গ্রুপিং। আর এই বিশাল আয়োজনের মাঝে 'গ্রুপ অব ডেথ' বলতে কিছু নেই বটে, তবে এর মাঝেই যেন জমে আছে অদৃশ্য সব রোমাঞ্চের ইঙ্গিত। গ্রুপ পর্বের লড়াই ছাপিয়ে এখনই তাই দৃষ্টি চলে যায় আরও দূরে— নকআউট পর্বের উত্তাপে।
কার পথ কীভাবে খুলে যেতে পারে? কে পাবে সহজ প্রতিপক্ষ? আর কে পড়ে যাবে বাঘা দলের ছোবলের মুখে? সবই এখন অনুমানের খেলা। কাগজে-কলমে হিসাব করলে হয়তো বোঝা যাবে সম্ভাব্য গতিপথ, কিন্তু বিশ্বকাপ তো আর ক্যালকুলেটর মানে না। যে কোনো দলই পারে পুরো সমীকরণ উল্টে দিতে। তারপরও একটা কাঠামো দাঁড় করার চেষ্টা করতে দোষ কোথায়!
আলোচনার খাতিরে ধরে নেওয়া যাক, ফেভারিট বা বড় দলগুলো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রাথমিক রাউন্ড পার করে নকআউটে জায়গা করে নেবে। এরপর কী কী ঘটতে পারে?
* আর্জেন্টিনা ও পর্তুগাল মুখোমুখি হতে পারে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের মঞ্চে দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বহু প্রতীক্ষিত দ্বৈরথ দেখার সুযোগ মিলবে ফুটবলপ্রেমীদের।
* একইভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল ও ইংল্যান্ডের দেখা হয়ে যেতে পারে। ২০০২ বিশ্বকাপের শেষ আটে তারা মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল।
* জমজমাট ও হাইভোল্টেজ সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল মুখোমুখি হতে পারে। তখন নিশ্চিতভাবেই তুমুল আলোচনার খোরাক পাওয়া যাবে। এছাড়া, সেমিতে হতে পারে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড বা পর্তুগাল-ব্রাজিল বা পর্তুগাল-ইংল্যান্ড ম্যাচ।
* শেষ ষোলো থেকেই অবশ্য জমে উঠতে পারে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর। জার্মানি ও ফ্রান্সের সাক্ষাৎ হতে পারে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে। ২০১৪ বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার আগে শেষ আটে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল জার্মানি।
* কোয়ার্টারে মুখোমুখি হতে পারে জার্মানি-নেদারল্যান্ডস কিংবা ফ্রান্স-নেদারল্যান্ডস। এরপর সেমিফাইনালে দেখা যেতে পারে স্পেন-ফ্রান্স বা স্পেন-জার্মানি বা স্পেন-নেদারল্যান্ডস লড়াই।