সুযোগ কাজে লাগালেন খাওয়াজা, দলের চাপে কেয়ারির দারুণ সেঞ্চুরি
উসমান খাওয়াজার খেলার কথা ছিলো না। ম্যাচের আগে অসুস্থ অনুভব করায় স্টিভেন স্মিথ ছিটকে যান, এতে আচমকা সুযোগ আসে। সেই সুযোগ খাওয়াজা কাজে লাগান পুরোপুরি। এরপর চাপে পড়া দলকে টেনে দারুণ সেঞ্চুরি করেন অ্যালেক্স কেয়ারি।
অ্যাডিলেডে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে লড়াই হয়েছে সমানতালে। আগে ব্যাটিং বেছে ৮ উইকেটে ৩২৬ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৪৩ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৬ রান করেন কিপার ব্যাটার কেয়ারি। ১২৬ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন খাওয়াজা।
ইংল্যান্ডের সফল বোলার জোফরা আর্চার। গতি তারকা ২৯ রানে নেন ৩ উইকেট।
টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে স্বাগতিক দল। জ্যাক ওয়েদারেল্ডকে স্লিপে ক্যাচ বানান আর্চার। বিপদজনক ট্রেভিস হেডকে তুলে নেন ব্রাইডন কার্স। ৩৩ রানে ২ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া এরপর প্রতিরোধ গড়ে মারনাশ লাবুশান-খাওয়াজার ব্যাটে। এই জুটিতে ৬১ আসার পর ১৯ করা লাবুশানও ফেরেন আর্চারের বলে।
আগের দিন আইপিএলে রেকর্ড মূল্য পাওয়া ক্যামেরন গ্রিন হয়েছেন পুরোপুরি ব্যর্থ। মাত্র ২ বল টিকেছেন তিনি, আর্চার তাকে ছেঁটে চাপ তৈরি করেন প্রবল। ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দিকহারা দলকে দিশে দিতে থাকেন চারে নামা খাওয়াজা। এবার অ্যাশেজে ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছিলো হয়ত ক্যারিয়ারই থমকে গেল তার। স্মিথের আকস্মিক চোট এনে দেয় সুযোগ। সেটা কাজে লাগাতে নিবেদিত ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার।
সেঞ্চুরির আভাস দিতে থাকা খাওয়াজা অবশ্য অসময়েই নেন বিদায়। কেয়ারির সঙ্গে ৯১ রানের জুটির পর উইল জ্যাকসের শিকার হন তিনি। এরপর জস ইংলিস, প্যাট কামিন্সদের নিয়ে এগুনো কেয়ারি সেঞ্চুরি তুলে নিতে কোন ভুল করেননি।
শেষ বিকালে তিনিও ফেরেন জ্যাকসের অফ স্পিনে। ন্যাথান লায়নকে নিয়ে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে অজিদের আশা জারি রেখেছেন মিচেল স্টার্ক।