প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস বিকৃতির কূটচাল

পুঁজিওয়ালাদের ভাবটা এখন এই রকমের যে বিশ্বায়নের দিন শেষ। বিশ্বায়নের নয়, দিন শেষ আসলে পুঁজিবাদেরই। আচ্ছাদনে-বাদশাহি কিন্তু ভেতরে-পুঁজিবাদী সৌদি আরবের শাসকেরাও এখন আর নিরাপদে নেই।

গত দেড় দশকে বাংলাদেশের রোগচিত্র বদলে গেছে। মানুষ ডায়রিয়া, আমাশয় বা বসন্ত রোগের মতো সংক্রমক রোগের গণ্ডি পেরিয়ে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো অসংক্রমক রোগের খপ্পরে পড়লো। ভারতীয় সাংবাদিক দীনেশ সি. শর্মা: নো ইয়র হার্ট: দ্য হিডেন লিঙ্কেজ বিটুইন ইওর বডি এন্ড পলিটিকস অব দ্য স্টেট শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। এতে তিনি দেখিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় নীতি ও ব্যক্তি অভ্যাসের দায় কীভাবে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তার পর্যবেক্ষণ সমভাবে প্রযোজ্য।

আন্তর্জাতিক বিশ্বও গা ঝাড়া দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের দৌড়ঝাঁপ, আর  রাজনৈতিক দেনদরবারের কম্পাংক কখনো দেশের ভিতরে, কখনো বাইরে। অন্যদিকে দেশীয় খেলোয়াড়রা নিজেদের খেলা ভুলে উদভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে আন্তর্জাতিক রেফারিদের আঙ্গুলের দিকে।

‘সবার’ বদলে ‘আমি’, ‘আমার’ শব্দগুলোই আমাদের আলোচনায় স্থান করে নিচ্ছে। সামষ্টিকভাবে পুরো সমস্যাকে আমরা আমলে নিতে পারছি না।

গাছ শুধু যে আমাদের ছায়া দেয় তা না, আমাদের জীবনও রক্ষা করে। গাছ আমাদের প্রয়োজন। এই কথাটা একজন শিশুও জানে। তাই যেকোনো মূল্যে গাছকে বাঁচিয়ে রাখাটাই আপনার, আমার ও নগরপিতারও কর্তব্য। 

স্মরণ করা যেতে পারে, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকার এবং কুমিল্লায় মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচনে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ফলে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শেষ পর্যন্ত আরিফুল হক চৌধুরী বা বিএনপির অন্য কোনো নেতা প্রার্থী হলে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের শঙ্কা রয়েছে।

যেহেতু বিচার পাওয়ার হার কম, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, বিচার পেতে গেলে অনেক ঝামেলা ও টাকা-পয়সার দরকার হয়, তাই নারীরা বিচারের দাবি জানাতে ভয় পান। অধিকাংশ নারী পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও তেমন সমর্থন ও সহযোগিতা পান না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংশোধনের চলমান প্রক্রিয়াটিতেও সাংবাদিকদের উপেক্ষা করা হচ্ছে এবং আমলাদের হাতে এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকছে বলে মনে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা অনুমান করতে পারি যে এর ফলাফল কী হবে। কারণ, তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত।

এই অঞ্চলে শুধু মিয়ানমার আছে বাংলাদেশের নিচে। তাদের অবস্থান ১৭৩। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশ, এমনকি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানও বাংলাদেশের উপরে। তাদের অবস্থান যথাক্রমে ১৫০ ও ১৫২। এ ছাড়া, ভারত ১৬১, শ্রীলঙ্কা ১৩৫, নেপাল ৯৫, ভুটান ৯০ এবং মালদ্বীপ ১০০তম।

যারা আন্তরিকভাবে কৃষকের পাশে দাঁড়ালেন, সেই ছাত্রলীগ কর্মীরা কি আসলেই ধান কাটতে পারেন? ধান কাটা এবং সেগুলো আঁটি বাঁধা কি খুব সহজ কাজ?

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৩ সালে। ২০২০ সালে তারা সর্বোচ্চ আলোচনায় আসে। কারণ সেই সময় ছিল করোনাকাল। মানুষ ঘর থেকে বের হতো না, মৃত্যু ভয় তাড়া করতো। সেইসময় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা আর কেউই করতে পারেনি। সেই স্মৃতি এখন অতীত। কারো স্মরণেও নেই।

মাদক চোরাচালানে প্রতি বছর দেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রয়েছে এক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন। সেই হিসেবে, ভারতের প্রতিবেশী নীতি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এক মাসের ভেতরে পরপর তিনটি উৎসব। স্বাধীনতা দিবস, বাংলা নববর্ষ আর ঈদ। প্রথম দুটো সর্বজনীন (!), আর শেষটা মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এরকম উৎসবমুখর সময়ে তো দেশজুড়ে আনন্দযজ্ঞ চলার কথা। তা কি হচ্ছে? মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে কী দেখতে পাচ্ছেন আপনারা? বাধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাস-উল্লাস-আয়োজন নাকি বিষাদ-বিপন্নতা-হতাশা-হাহাকার?

ঈদযাত্রার মূল ভোগান্তিটা হয় ট্রেনের টিকিট পাওয়া এবং যমুনা নদীর ওপরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর দুপাড়ে হাজারো গাড়ির জটলায়। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কও এই ভোগান্তির একটি বড় কারণ।

আবর্জনা থাকবেই। তা দূর করতে হবে। প্রসঙ্গ হলো, দূর করার জন্য আমরা কতটা সক্রিয়?

এক সময় ধারণা ছিল বৃষ্টিপাত বা বাসাবাড়ির আনাচে-কানাচে জমে থাকা পানি থেকে এডিস মশার বিস্তার হয়। এখন মশাদের শক্তি আরও বেড়েছে। বিশেষ করে এডিস মশার ডিম ৬ মাস পর্যন্ত শুকনো জায়গায়ও বেঁচে থাকতে পারে।

রাজধানী ঢাকার শপিংমল, বাজার, বস্তি, পুরান ঢাকার কেমিকেল গোডাউন এমনকি বহুতল আবাসিক ভবনেও আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু যখনই আগুন লাগে, তখনই এক নম্বর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় আগুন নেভানোর পানির স্বল্পতা। অথচ বাংলাদেশকে বলা হয় ‘নদীমাতৃক’।

নিজেদের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেও প্রাণপ্রিয় যে পেশাটিতে আমরা আছি, সেটি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে?

সন্ধ্যায় ফোন করে জানলাম ঈদ উপলক্ষে প্রায় ২ থেকে আড়াই কোটি টাকার কাপড় তুলেছিল ৪টি দোকানে। এখন সব শেষ।